“চাঁদপুর সেচ প্রকল্প”
১। প্রকল্পের নাম ঃ চাঁদপুর সেচ প্রকল্প।
২। উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ঃ চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলার ৬টি উপজেলার প্রকল্পভুক্ত আবাদযোগ্য জমিতে সেচ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাদির মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য। প্রকল্পভুক্ত ৫৩,০০০ হেক্টর এলাকা বন্যামুক্ত ও জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা করে ২৮,৫০০ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেয়ার লক্ষ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়।
৩। প্রকল্পের ধরণ ঃ বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ ।
৪। অবস্থান ঃ চাঁদপুর জেলার চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ ও হাইমচর উপজেলা এবং লক্ষ্মীপুর জেলার লক্ষ্মীপুর সদর, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলার অংশবিশেষ।
৫। প্রকল্প এলাকা ঃ ৫৩,০০০ হেঃ (গ্রস), ২৮,৫০০ হেঃ (চাষযোগ্য) এবং ২২,০০০ হেঃ (সেচযোগ্য)।
৬। বাস্তবায়ন কাল ঃ ১৯৬৩ সাল হতে ১৯৭৮ সাল (ভৌত কাজ ১৯৭৩ হতে ১৯৭৮ সাল)
৭। বাস্তবায়ন ব্যয় ঃ ৫৪৩০.০০ লক্ষ টাকা (বৈদেশিক মুদ্রা ১৭১৫ লক্ষ টাকা)
৮। অর্থায়ন সংস্থা ঃ আই ডি এ (বিশ্ব ব্যাংক) ও বাংলাদেশ সরকার
৯। বার্ষিক অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন ঃ ৩.৫৭ লক্ষ মেঃ টন (সমমূল্য প্রায় ৬০০০০.০০ লক্ষ টাকা)
১০। প্রধান অঙ্গসমূহ ঃ
(ক) পাম্প হাউজ ও নেভিগেশন লক গেইট ঃ ২টি নেভিগেশন লক গেইটসহ ১টি পাম্প হাউজ (চরবাগাদী) ৬টি পাম্প, প্রতিটি ৫.৬৭ কিউমেক ক্ষমতা সম্পন্ন।
(খ) রেগুলেটর ও নেভিগেশনলক গেইট ঃ ১টি (হাজীমারা), ১টি নৌ-চলাচল গেইটসহ ৫ ভেন্ট নিষ্কাশন ক্ষমতা ৬৫১ কিউমেক।
(গ) ছোট রেগুলেটর ঃ ৬টি (প্রতিটি ২ ভেন্ট)
(ঘ) বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ঃ ১০০.০০ কিঃ মিঃ
(ঙ) প্রধান সেচ খাল ঃ ১টি (ডাকাতিয়া নদী), ৫৮.০০ কিঃমিঃ
(চ) সেকেন্ডারী খাল ঃ ৭৫৪.০০ কিঃমিঃ
(ছ) ব্রীজ ঃ ২৮ টি
(জ) স্বল্পোত্তোলক পাম্প (এলএলপি) ঃ ১৬০০ টি
১১। সেচের জন্য পানির লেভেল ঃ (ক) সর্বোচ্চ পন্ড লেভেল ঃ + ২.৪৪ মিঃ (পিডব্লিউডি)
(খ) ডেড ষ্টোরেজ লেভেল ঃ + ২.১৩ মিঃ (পিডব্লিউডি)
১২। ফসলের নিবিড়তা ঃ (ক) প্রকল্প পূর্বাবস্থায় ১৫১%
(খ) প্রকল্প বাস্তবায়নের পর ২৩৪%
১৩। ২০০৮-২০০৯ সালে সেচ ঃ (ক) লক্ষ্যমাত্রা ২২,০০০ হেক্টর
(খ) সাফল্য ২১,৮০০ হেক্টর
১৪। ২০০৯-২০১০ সালে সেচের লক্ষ্যমাত্রা ঃ ২২,০০০ হেক্টর
১৫। বার্ষিক গড় অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন ঃ ৩.৫৭ লক্ষ মেঃ টন (সমমূল্য টাকা ৬০০০০.০০ লক্ষ টাকা)
১৬। পানি ব্যবহারকারী দল ঃ ১২৫১ টি
১৭। বার্ষিক পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় ঃ ৩০০.০০ লক্ষ টাকা
১৮। নীট বাড়তি ফসল উৎপাদন (১১৯৪-৯৫ হতে ২০০৮-০৯) ঃ ৫০৪৫১৬৩.২৫ মেঃ টন (সমমূল্য প্রায় ৫১৮৩১৫.৩৮ লক্ষ টাকা)
১৯। বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঃ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
২০। মন্ত্রণালয় ঃ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
চাঁদপুর সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নোত্তর সুফল ঃ
১। সেচ সুবিধা প্রদান ঃ
প্রকল্প বাস্তবায়নান্তে ১৯৭৮-৭৯ সাল হতে পর্যায়ক্রমে ২২,০০০ হেক্টর এলাকায় সেচ সুবিধা এবং ২৮,৫০০ হেক্টর এলাকায় সম্পুরক সেচ সুবিধা প্রদান সম্ভব হয়েছে।
২। বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ঃ
প্রকল্পভুক্ত ৫৩,০০০ হেক্টর সম্পূর্ণ বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন সুবিধার আওতায় আনয়ন করা সম্ভব হয়েছে।
৩। আয় ও কর্মসংস্থান মূলক ঃ
প্রকল্প সমাপ্তির পর প্রতিবছর এর পরিচালন, রক্ষণাবেক্ষণ ও কৃষি কাজের দরূন ৯০ লক্ষ শ্রম দিবসের কর্মসংস্থান হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় উন্নত কৃষি কাজের প্রক্রিয়ার সঙ্গে সঙ্গে আয় ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষি ভিত্তিক ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, হাট-বাজার, ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, যানবাহন, এনজিও, ব্যাংক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি ক্ষেত্রে উন্নতি সাধিত হয়েছে।
৪। উৎপাদনমূলক ঃ
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক সফল বাস্তবায়িত প্রকল্প তালিকায় চাঁদপুর সেচ প্রকল্প অন্যতম। প্রকল্পের পূর্বাবস্থায় বিভিন্ন ফসলের বাৎসরিক মোট উৎপাদন ছিল ১.০৮ লক্ষ মেঃ টন। যার মূল্য ছিল ৬০ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন পরবর্তী প্রকল্প পূর্বাবস্থার তুলনায় বাড়তি ধানসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনের পরিমাণ ৩.৫৭ লক্ষ মেঃটন। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৬০০.০০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে খাদ্য ঘাটতির এ এলাকাটি বর্তমানে খাদ্যে উদ্বৃত্ত। এ ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নের পরবর্তী সময়ে নারিকেল, পান, সুপারিও আখসহ অন্যান্য ফসল অভাবনীয়ভাবে উৎপাদন বৃদ্ধিপায়। প্রকল্পটি ১৯৭৮ সালে সমাপ্তিরপর প্রকল্পের ফসলের নিবিড়তা ১৫১% হতে পর্যায়থমে ২৩৪%এ উন্নীত হয়েছে। বিগত ৮ বছরের বাড়তি ফসল উৎপাদন খাতে গড়ে ৪২৭.৮২ কোটি টাকা লাভের বাৎসরিক খতিয়ান নিন্মুক্ত ছকে উদ্ধৃত করা হলো।
৫। মৎস্য উন্নয়ন ঃ
প্রকল্পভুক্ত প্রধান সেচ খাল (ডাকাতিয়া নদী) ৫৮.০০ কিমি, বরোপিট খাল ৭৫.০০ কিমি এবং অন্যান্যসেচ খালে ব্যাপকভাবে মৎস্য চাষ করা হচ্ছে।
৬। পরিবেশগতঃ
উন্নতর পানি ব্যবস্থাপনার জন্য ভৌত পরিবেশের উন্নতি হয়েছে। প্রকল্প এলাকায় ব্যাপক বনায়ন করাহয়েছে। মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিকল্পে প্রকল্প এলাকায় মৎস্য চাষের প্রসারঘটিয়েছে। প্রকল্পস্থ জলাবদ্ধতা দূরিকরণের ফলে পরিবেশগত ভারসাম্যের পরিবর্তন হয়নি এবং প্রাকৃতিক মাছ উৎপাদনের ব্যাঘাত ঘটেনি।
৭। নৌ চলাচলঃ
প্রকল্প এলাকার জলাধারে নির্দিষ্ট মাত্রায় পানি রাখার ফলে নদী ও খালে সারা বছর ব্যাপী নৌ-চলাচলকরে থাকে।
“চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ প্রকল্প”
১। প্রকল্পের নাম ঃ চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ প্রকল্প।
২। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঃ গুরুত্বপূর্ণ শিল্প ও ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে জাতীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে। প্রধানত নদীর তীর সংরক্ষণ দ্বারা এই শহরের জনপদ, শিল্প ও সরকারি/বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষা করাই উদ্দেশ্য। এই শহরটি রক্ষা করা গেলে এর ভাটিতে অবস্থিত চাঁদপুর সেচ প্রকল্পসহ বিস্তৃর্ণ জনপদ রক্ষা পাবে। শহরটি রক্ষা করা সম্ভব হলে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব রকমের সরকারি/বেসরকারি কার্যক্রমসহ দারিদ্র বিমোচন করা সম্ভব হবে।
৩। প্রকল্পের ধরণ ঃ নদীর ভাঙ্গন রোধ।
৪। অবস্থান ঃ চাঁদপুর শহর।
৫। প্রকল্প এলাকা ঃ ৫০ বর্গ কি.মি।
৬। নির্মাণ কাজ
(ক) সিসি ব্লক দ্বারা তীর সংরক্ষণ কাজ ঃ ২৮৮৫ মিটার ।
(খ) সিসি ব্লক দ্বারা মোলহেড অংশসহ সমাপ্তকৃত তীর সংরক্ষন কাজ শক্তিশালী করন ঃ ১১৫০ মিটার ।
(গ) ডাকাতিয়া নদীতে চর অপসারন ঃ ১.০০ লক্ষ ঘ:মি:।
(ঘ) ডাকাতিয়া নদীর তীর রক্ষার কাজ (সিসি ব্লকের সাহায্যে) ঃ ১৮৫ মিটার।
৭। বাস্তবায়ন কাল ঃ
ক্রম নং |
প্রকল্পের নাম |
সময়কাল |
ব্যয় (লক্ষ টাকা)
|
(ক) |
চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ প্রকল্প (১ম পর্যায়) |
১৯৭৩ হতে ১৯৭৯ সাল |
৫৬৮.৫০ |
(খ) |
সিসি ব্লক বরাদ্দ (থোক) |
১৯৭৯ হতে ১৯৯৬ সাল |
১৯৪৯.০০ |
(গ) |
বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প |
১৯৮৮ হতে ১৯৯১ সাল |
১৬৪০.৪১ |
(ঘ) |
চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) |
১৯৯৭ হতে ২০০১ সাল |
১৬৬৪.১৮ |
(ঙ) |
চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ প্রকল্প (৩য় পর্যায়) |
২০০৮ হতে ২০১০ সাল |
২৪৬৭.০০ |
৮। বার্ষিক পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় ঃ ৬০.০০ লক্ষ টাকা ।
৯। বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঃ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
১০। মন্ত্রণালয় ঃ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ প্রকল্পের বাস্তবায়নোত্তর সুফল ঃ
ক। চাঁদপুর শহর রক্ষা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে চাঁদপুর শহরের জনপদ, শিল্প ও সরকারি/বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রক্ষা করা হয়েছে।
খ। চাঁদপুর শহর রক্ষা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, নদী বাহিত পলি ডি-সিল্টেশনের মাধ্যমে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষাসহ চাঁদপুর সেচ প্রকল্পটি রক্ষা করা হয়েছে।
গ। চাঁদপুর শহর রক্ষা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে শহরটি রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে বিধায় ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব রকমের সরকারি/বেসরকারি কার্যক্রমসহ দারিদ্র বিমোচনে সহায়তা করা সম্ভব হয়েছে।
ঘ। বিআইডব্লিউটিএ-এর টার্মিনাল এবং রেলওয়ে স্টেশনসহ রক্ষা করে সারাদেশের সাথে চাঁদপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে সহায়তা করছে।
“মেঘনা নদীর ভাঙ্গন হতে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প রক্ষাকল্পে পুরান বাজার সংলগ্ন ইব্রাহীমপুর-সাখুয়া এলাকা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্প”
১। প্রকল্পের নাম ঃ মেঘনা নদীর ভাঙ্গন হতে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প রক্ষাকল্পে পুরান বাজার সংলগ্ন ইব্রাহীমপুর-সাখুয়া এলাকা নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্প।
২। উদ্দেশ্য ঃ চাঁদপুর শহরে পুরান বাজার সংলগ্ন ইব্রাহীমপুর-সাখুয়া এলাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র ও সরকারী বেসরকারী সম্পদ,কৃষি জমি, জনপদ ইত্যাদি এবং চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেঘনা নদীর ভাঙ্গন হতে রক্ষা করা।
৩। প্রকল্পের ধরণ ঃ নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ।
৪। অবস্থান ঃ চাঁদপুর/ চাঁদপুর সদর।
৫। প্রকল্প এলাকা ঃ ৫৬৭৬.২৬ মিটার।
৬। বাস্তবায়ন কাল ঃ ২০১০ সাল হতে ২০১৫ সাল।
৭। বাস্তবায়ন ব্যয় ঃ ১৬৬০১.০০ লক্ষ টাকা।
৮। বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঃ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
৯। মন্ত্রণালয় ঃ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
মেঘনা নদীর ভাঙ্গন হতে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প রক্ষাকল্পে ইব্রাহীমপুর-সাখুয়া প্রকল্প বাস্তবায়নোত্তর সুফল ঃ
ক। পুরান বাজার সংলগ্ন ইব্রাহীমপুর ও সাখুয়া এলাকার বাণিজ্য কেন্দ্র, সরকারী বেসরকারী সম্পদ, কৃষি জমি, জনপদ, মসজিদ
মন্দির, স্কুল, মাদ্রাসা, রাস্তা-ঘাট, বাজার ইত্যাদি মেঘনা নদীর ভাঙ্গন হতে রক্ষা করা হয়েছে। প্রায় ১২২০ কোটি টাকার স্থায়ী
ও অস্থায়ী সম্পদ নদী ভাঙ্গন হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
খ। চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ মেঘনা নদীর ভাঙ্গন হতে রক্ষা করা হয়েছে।
গ। ভাঙ্গনমুক্ত জনপদসমূহে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে।
ঘ। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ।
“মেঘনা নদীর ভাঙ্গন হতে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প এলাকা সংরক্ষণ (হাইমচর) এবং বাঞ্চরামপুর উপজেলার বাম তীর রক্ষা প্রকল্প”
১। প্রকল্পের নাম ঃ মেঘনা নদীর ভাঙ্গন হতে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প এলাকা সংরক্ষণ (হাইমচর) এবং বাঞ্চরামপুর উপজেলার বাম তীর রক্ষা প্রকল্প।
২। উদ্দেশ্য ঃ মেঘনা নদীর তীরে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের বেড়ী বাঁধ দ্বারা সংরক্ষিত চাঁদপুর ও লক্ষীপুর জেলার কৃষি জমি, বাসস্থান, বাজার, বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাকে রক্ষা করা প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য।
৩। প্রকল্পের ধরণ ঃ নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ।
৪। অবস্থান ঃ চাঁদপুর/হাইমচর।
৫। প্রকল্প এলাকা ঃ ৭৮৯৮.০৫ মিটার।
৬। বাস্তবায়ন কাল ঃ ২০০৯ সাল হতে ২০১৫ সাল।
৭। বাস্তবায়ন ব্যয় ঃ ১৩৩৮০.৪০ লক্ষ টাকা।
৮। বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঃ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
৯। মন্ত্রণালয় ঃ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
মেঘনা নদীর ভাঙ্গন হতে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প এলাকা সংরক্ষণ (হাইমচর) এবং বাঞ্চরামপুর উপজেলার বাম তীর রক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়নোত্তর সুফল ঃ
ক। মেঘনা নদীর তীরে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের বেড়ী বাঁধ দ্বারা সংরক্ষিত চাঁদপুর ও লক্ষীপুর জেলার কৃষি জমি, বাসস্থান, বাজার, বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাকে রক্ষা করা হয়েছে। প্রায় ১৮৩৫ কোটি টাকার স্থায়ী ও অস্থায়ী সম্পদ নদী ভাঙ্গন হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
খ। ভাঙ্গনমুক্ত জনপদসমূহে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে।
গ। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ।
“মেঘনা নদীর ভাঙ্গন হতে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প সংরক্ষণ প্রকল্প (১ম পর্যায়)”
১। প্রকল্পের নাম ঃ মেঘনা নদীর ভাঙ্গন হতে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প সংরক্ষণ প্রকল্প (১ম পর্যায়)।
২। উদ্দেশ্য ঃ মেঘনা নদীর তীরে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের বেড়ী বাঁধ দ্বারা সংরক্ষিত হাইমচর উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ও জনপদ মেঘনা নদীর ভাঙ্গন হতে রক্ষা করা প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য।
৩। প্রকল্পের ধরণ ঃ নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ।
৪। অবস্থান ঃ চাঁদপুর/হাইমচর।
৫। প্রকল্প এলাকা ঃ ২৭০০.০০ মিটার।
৬। বাস্তবায়ন কাল ঃ ২০০৬ সাল হতে ২০১০ সাল।
৭। বাস্তবায়ন ব্যয় ঃ ৪২৭৪.৯০ লক্ষ টাকা।
৮। বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঃ বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
৯। মন্ত্রণালয় ঃ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
মেঘনা নদীর ভাঙ্গন হতে চাঁদপুর সেচ প্রকল্প সংরক্ষণ প্রকল্প (১ম পর্যায়) প্রকল্প বাস্তবায়নোত্তর সুফল ঃ
ক। মেঘনা নদীর তীরে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের বেড়ী বাঁধ দ্বারা সংরক্ষিত চাঁদপুর ও লক্ষীপুর জেলার কৃষি জমি, বাসস্থান, বাজার, বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাকে রক্ষা করা হয়েছে।
খ। ভাঙ্গনমুক্ত জনপদসমূহে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে।
গ। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ।